নদী বিধৌত বালুকাময় চরের উত্তাপ ঘেষে প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ভরা মর্ণেয়া ইউনিয়ন রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার মধ্যে অবিস্থত। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলামসহ ২২জন বীরমুক্তিযোদ্ধা এ ইউনিয়ন থেকে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশকে শত্রমুক্ত করতে অস্ত্রহাতে ঝাপিয়ে পড়েছিল। রংপুর জেলা সদর হতে উত্তরপূর্ব দিকে ১৫ কিলোমিটার, গংগাচড়া উপজেলা সদর হতে পূর্ব দক্ষিনে ৬ কিলোমিটার দুরে মর্ণেয়া ইউপি কমপ্লেক্সভবন। মর্ণেয়া ইউনিয়নের পশ্চিমে ৪নং গংগাচড়া ইউনিয়ন, দক্ষিন পশ্চিমে সদর উপজেলার ৪নং পশুরাম ইউনিয়ন, দক্ষিন দিকে সদর উপজেলার তপোধন ইউনিয়ন, পশ্চিমে গংগাচড়া উপজেলার ৬ নং গজঘন্টা ইউনিয়ন, উত্তরে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা। উত্তর দিকে খরস্রোতা তিস্তা নদী, তিনটি ওযার্ডর পার্শঘেষে এবং একটি ওযার্ডের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত। একাধিক বিল রয়েছে এ ইউনিয়নে, মানাষ নদী মর্ণেয়া ইউনিয়নের বকসা, মৌভাষা ও কামদেব মৌজার মধ্য দিয়ে রংপুর সদর হয়ে কাউনিয়া উপজেলা অভিমুখে চলে গেছে। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ কুষিজীবি। এছারা চাকুরীজীবি, দিনমজুর, ব্যবসায়ী ও অন্যান্ন পেশাজীবি মানুষ রয়েছে। মংগাপীড়িত এ ইউনিয়নের প্রায় ২/৩ হাজার নারী ও পুরুষ জীবিকার তাগিদে ঢাকা সিলেট গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে গিয়ে কাজ করেন। এখানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নেই। অধিকাংশ মানুষ ধার্মিক। যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নয়ন ঘটেনি। ব্যক্তিগত বাইসাইকেল, মটরবাইক, রিক্সা, অটোরিক্সা, ভ্যান ইত্যাদিদ্বারা মানুষ চলাচল করেন। চরাঞ্চলের মানুষ পায়ে হেটে চলাচল করেন। নৌকাদ্বারা নদী পাড়াপার হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস